শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

ভূতে বানাচ্ছে এনআইডি!

স্বদেশ ডেস্ক: আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পরিচয়পত্রেও (এনআইডি) লেগেছে এর ছোঁয়া। সঙ্গত কারণেই নির্ভুল ও যথাযথ তথ্যযুক্ত এনআইডি যখন প্রত্যাশিত, তখন উল্টো প্রশ্ন জেগেছেÑ ছাপাখানার ঘাড়ে যেমন ভূত চাপে, আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভা-ারের (সার্ভারে) কাঁধেও তেমন ভূত চেপেছে কি? নাকি সংশ্লিষ্টদের অজান্তে সংঘবদ্ধ কোনো জালিয়াতচক্রের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে খুবই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এ ভা-ারে? কিংবা দায়িত্বশীলদের কোনো চক্র কি তথ্যভা-ারে গোপনে অনৈতিকভাবে প্রবেশ করছে?

এসব প্রশ্ন জাগা বিস্ময়কর হলেও স্বাভাবিক। কারণ, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এমন ব্যক্তিও ভোটার হয়েছেন এবং এনআইডি পেয়েছেন, সার্ভারে যাদের কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই কিংবা ছবি বসানো হয়েছে স্ক্যান করে; তথ্যাদির ঘরও অসম্পূর্ণ। উপরন্তু উপজেলা নির্বাচন অফিসের সার্ভারেও এসব ভোটারের কোনো তথ্য নেই। অথচ তারা পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে মর্মে আবেদন করে এনআইডি তুলে নিয়ে গেছেন। এমনও দেখা গেছে, যে নাম ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে নেওয়া হয়েছে, সেই ঠিকানায় তাদের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি।

এনআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আইনগত স্বীকৃতি মেলে। পাসপোর্ট ইস্যু, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনাসহ রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্য সুবিধাদি অর্জনে এটি এক ধরনের নাগরিক সনদপত্র হিসেবে কাজ করে। এনআইডিধারী ব্যক্তি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আইনত বিবেচিত হন। সঙ্গত কারণেই এনআইডি একটি স্পর্শকাতর ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ গুরুদায়িত্বটি পালনকারী প্রতিষ্ঠান ইসি।

সম্প্রতি নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পুলিশের তথ্যমতে, নূর মোহাম্মদ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলাতে অবস্থিত জাদিমোরা-২৬ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ছিলেন। তার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বুড়া সিকদারপাড়া গ্রামে। বন্দুকযুদ্ধের পর তল্লাশি করে তার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) পাওয়া গেছে। তিনি কীভাবে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র পেয়েছেন? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রোহিঙ্গা এক নারীর ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রাপ্তির তথ্য ইসির সুরক্ষিত সার্ভারে সন্নিবেশনের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আরও ৪৬টি ভুয়া এনআইডির তথ্য ইসির সার্ভারে পাওয়া গেছে। নির্বাচন কার্যালয়ের নথিপত্রে এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। কীভাবে এসব তথ্য সার্ভারে দেখা যাচ্ছে এবং এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িতÑ তা শনাক্ত করতে পারেনি ইসি। তথ্যভা-ারের কাঁধে চাপা ভূতের কল্যাণে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অনেকেই এ দেশের নাগরিক বনে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা সঙ্গত কারণেই।

ইসি সূত্র জানায়, যেসব ভোটারের সম্পূর্ণ তথ্য সার্ভারে আপলোড করা হয়নি বা ছবি স্ক্যান করে বসানো হয়েছে, তারা ইসির চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদকালে তথ্য দিয়েছেন। হালনাগাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।

কাজী শাহ জালাল (১৫০৮৩৪৪৬৫০), পিতা- মৃত কাজী সিদ্দিকুর রহমান, মাতা হাজেরা খাতুন। তিনি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাইক দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাবকপাড়া গ্রামের ভোটার হিসেবে নাম অন্তর্র্ভুক্ত করেছেন। অথচ লাকসাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার কোনো তথ্য নেই। কোনো নাগরিক ভোটার হতে গেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ছবি তুলতে হয়; দশ আঙুলের ছাপ দিতে হয়। আশ্চর্যজনক তথ্যÑ এ ভোটারের কোনো ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। ছবি স্ক্যান করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভোটার হতে গেলে যে কয়েকটি ফরম পূরণ করতে হয়, তার মধ্যে দুই নম্বর ফরম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; এই ভোটারের সেই ফরমটি পূরণ করা হয়নি। সার্ভারেও নেই। এই ফরম সার্ভারে কোথা থেকে কোন কর্মকর্তা আপলোড করেছেন সেই তথ্যও নেই। এ তথ্য দিয়েছেন লাকসাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ। তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার সার্ভারে ওনার কোনো তথ্য নেই। আমি চেক করে দেখেছি। তিনি যোগ করেন, শাহজালালের দেওয়া তথ্যেও অসামঞ্জস্য রয়েছে। উনার ভোটারের তথ্যে থানা ও ইউনিয়ন ঠিক থাকলেও যে এলাকার ভোটার বলা হয়েছে, সেই এলাকা (ভাবকপাড়া) এ উপজেলায় পড়েনি, পড়েছে পাশের লালমাই উপজেলায়।

এই নির্বাচন কর্মকর্তা বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, এক এলাকার ভোটারের অন্য এলাকায় ভোটার হওয়ার সুযোগই নেই। কারণ সার্ভারের পৃথক কোড নম্বর দেওয়া আছে। এটা কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না!

মো. লাবলু হোসেন (২৪০৮৩৫৫৪০৮)। পিতা- লিয়াতক আলী, মাতা- মোসা. মর্জিনা বেগম। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজাপুর ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকার ভোটার হয়েছেন। তার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, সার্ভারে দুই নাম্বার ফরম নেই। ছবি স্ক্যান করে বসানো। ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন অফিসেও তার কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আমার এখানে বলরামপুর বলে কোনো গ্রামই নেই। তবে এই ভোটারের তথ্যে সদর থানা প্রদর্শন করছে। তিনি বলেন, লাবলু হয়তো অন্য কোনো জায়গা থেকে ভোটার হয়েছেন। কিন্তু কীভাবে? উল্টো প্রশ্ন রাখেন তিনি। বলেন, আমার এখানে যে সার্ভার, তাতে উনার কোনো তথ্য নেই।

বর্তমানে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে এমন কয়েক সহস্রাধিক ভোটারের তথ্য আপলোড করা হয়েছে বলে আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

ইফতেখার ইসলাম চৌধুরী (১৯৮১১৫৯৪১১৬০০০০৩৭)। পিতা-সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাতা- হালিমা খাতুন। ভোটার হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি এলাকার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জের শাহ মোহাম্মদ আলী লেইন। বাসা নাম্বার- ৭৯/এ। ভোটার এলাকা- চকবাজার। তিনি চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ভোটার হতে তথ্য দিয়েছেন। ইফতেখার ইসলাম চৌধুরীর নগরীর চকবাজার এলাকার ইমামগঞ্জ শাহ মোহাম্মদ আলী লেইন এর ৭৯/এ বাসায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই নামের কেউ সেখানে থাকেন না। স্থানীয় হযরত মৌলানা মোহাম্মদ আলী শাহ মাজার ও মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ লোকমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় আছি। ইফতেখার আলম নামের কারো সম্পর্কে জানি না। একই কথা বললেন, স্থানীয় অদুল হাকিমও। তিনি বলেন, এলাকাকে ইমামগঞ্জ নামে কেউ চিনেন না। তবে চকবাজার শাহ আলী মাজার লেইন বললে সবাই চিনে।

ইসি সূত্র জানায়, এই ভোটারের সম্পূর্ণ তথ্য সার্ভারে আপলোড করা হয়নি। ছবি স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। তিনি চলমান হালনাগাদে তথ্য দিয়েছেন। হালনাগাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে এরই মধ্যে কার্ড হারিয়েছে মর্মে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে নিয়েছেন ইফতেখার ইসলাম চৌধুরী।

ইসি সার্ভারের তথ্যানুযায়ী আরেক ভোটারের নাম ওয়াজেদ মোহাম্মদ ইসমাইল (১৯৮৬১৫৯৪১১৬০০০০৫১)। পিতা- আবু তাহের চৌ., মাতা- হোসনে আরা। তিনিও চট্টগ্রামের ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকার ৩০/৩১ কলেজ রোডের বাসিন্দা, বাসা নাম্বার- ০৮।

ইসি সার্ভারে সংরক্ষিত থাকা তথ্যানুযায়ী ওয়াজেদ মোহাম্মদ ইসমাইলের স্থায়ী ঠিকানা ৩০/৩১ কলেজ রোডের আট নম্বর বাসায় খোঁজ নেওয়া হলে জানা যায়, সেখানে এই নামের কেউ বসবাস করেন না। ২৭ নং কলেজ রোডের বাসিন্দা আবুল কাসেম বলেন, আমি এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ওয়াজেদ নামের কাউকে চিনি না।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভোটারে তথ্যও অসম্পূর্ণ। তিনি এবারে হালনাগাদে ভোটার হয়েছেন। এরই মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করেছেন। উপরোক্ত দুজনই ঢাকার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসি কর্মকর্তারা জানান, যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে ভোটার হতে ১০ আঙুলের ছাপ দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে যাদের দুই হাত কাটা, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় ভোটার হতে পারবেন। তবে হাজির হয়ে কিংবা অসুস্থ হলে তার কাছে গিয়ে ইসি প্রতিনিধি ছবি তুলে আনবেন। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত স্ক্যান করে ছবি বসানোর কোনো নিয়ম নেই। সার্ভারে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকা আবশ্যক।

জানা গেছে, উপরোক্ত ভোটারদের ক্ষেত্রে স্ক্যান করে ছবি বসানো হয়েছে। তাদের কারোরই ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। সার্ভারে যেসব তথ্য সংবলিত ফরম সংযুক্ত থাকার কথা সেগুলো নেই। সম্প্রতি এমন কয়েক হাজার মানুষের তথ্য জাতীয় তথ্য ভা-ারে যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) প্রিন্ট করে নিয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ ভোটার হতে চাইলে থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্ভারে তথ্য আপলোড করতে হবে। কিন্তু এসব ভোটার তথ্য কীভাবে আপলোড করা হয়েছে, তার কোনো লগ নেই। কোন এলাকা থেকে কোন কর্মকর্তা আপলোড করেছেন তার কোনো প্রমাণ নেই। কোনো থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সার্ভারে তথ্য আপলোড করা হতে পারে। এর পেছনে কোনো অসাধু চক্র কাজ করতে পারে। জাতীয় তথ্য ভা-ারে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড লগিং ছাড়া প্রবেশ করে ভোটার করতে পারা ভয়ঙ্কর বিষয়! তা হলে এই গ্রুপ তো এখান থেকে তথ্যও পাচারও করতে পারবে। এ বিষয়ে এখনই সাবধান হতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব আইটি কর্মকর্তা ও দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠান ‘টাইগার আইটি’ জাতীয় তথ্যভা-ার তদারকি করে।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে ইসি কর্মকর্তার ইতোমধ্যে মিটিং করেছেন। তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। এর পর কথা হয় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে আমরা সেটি নিয়ে বসব। ঘটনা সত্য হলে এ বিষয়ে দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে। এগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। কোনোভাবেই এটা টলারেট করা হবে না। তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল ডেটাবেজ সার্ভার আমাদের গর্ব করার মতো একটা বিষয়। তারা (ফিঙ্গার প্রিন্ট ও দুই নাম্বার ফরম ব্যতীত যারা ভোটার হয়েছেন) কোথা থেকে কীভাবে এলো, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। সব বেরিয়ে আসবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করতে দুজন আইটি এক্সপার্ট চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশন অব সফটওয়ার ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান আমাদের সময়কে বলেন, আসলে এটা একটা ন্যাশনাল ডেটাবেস সার্ভার। এটির নিরাপত্তা নিশ্চয় কয়েকটি স্তরের। এসব স্তর ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি বলেই আমার ধারণা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877